রোগীকে মৃত্যু শয্যায় রেখে মিটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন চিকিৎসকরা
রোগীকে মৃত্যু শয্যায় রেখে মিটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন চিকিৎসকরা
বাইরে চিকিৎসা নিতে অপেক্ষায় ১১ দিনের শিশু ও অপারেশনের এক রোগী। কিন্তু চেম্বারে চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির (এমআর) সঙ্গে দিব্যি মিটিং করেই যাচ্ছেন। এভাবে পার করলেন তিনি ৩০ মিনিট। পরে রোগী চেম্বারে ঢুকলে ওই চিকিৎসক চিকিৎসাসেবা-তো দিলেন না, উল্টো অশালীন আচরণ করে রুম বের করে দিলেন।
বাইরে চিকিৎসা নিতে অপেক্ষায় ১১ দিনের শিশু ও অপারেশনের এক রোগী। কিন্তু চেম্বারে চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির (এমআর) সঙ্গে দিব্যি মিটিং করেই যাচ্ছেন। এভাবে পার করলেন তিনি ৩০ মিনিট। পরে রোগী চেম্বারে ঢুকলে ওই চিকিৎসক চিকিৎসাসেবা-তো দিলেন না, উল্টো অশালীন আচরণ করে রুম বের করে দিলেন।
এমনই এক অভিযোগ উঠেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. নিগার সুলতানার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী রোগী কানিজ ফাতেমার স্বামী মো. মোখতার হোসেন এরকম একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল করিম রাশেদকে।
অভিযোগে বলা হয়, ১০ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে রোগী কানিজ ফাতেমা ও তার ১১ দিনের এক শিশুকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে ডা. নিগার সুলতানার কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে ২৯ নম্বর কক্ষের সামনে তারা অপেক্ষা করেন। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ভুক্তভোগী ওই রোগীর সিরিয়াল আসে। চেম্বারে ঢুকবেন ওই মুহূর্তে কয়েকজন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ঢুকে পড়েন।
ডা. নিগার সুলতানা ৩০ মিনিট তাদের সঙ্গে মিটিং করেন। পরে চিকিৎসাসেবা নিতে চাইলে অশালীন আচরণ করে চেম্বার থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রোগী কানিজ ফাতেমার স্বামী মো. মোখতার হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল করিম রাশেদ বলেন, চিকিৎসাসেবা না দিয়ে রোগীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়েছে বলে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments